এই প্রথম সোহেলের মনে হলো তার দাদু আসলে ঠিক কথাই বলেন| ধান থাকলেই যেমন খৈ
ভাজা যায় না তেমনই গাদা গাদা বই থাকলেই জ্ঞান অর্জন করা যায় না| এতদিন গবেষণা করে লোকটা
যে সমস্যার পাহাড় গড়ে তুলেছিলো তাতে তার কোনো লাভ হয় নি| অন্য লোকের সমস্যারও কোনো
সমাধান হয়নি| উল্টো সমস্যার সমুদ্রে পড়ে হাবুডুবু খেয়ে প্রাণটাই তার বের হওয়ার উপক্রম
হয়েছিল| দাদুই তাকে সে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করলেন|
— ব্রাভো দাদু, ব্রাভো|
মনে মনে বলে উঠলো সোহেল| তারপরই বন্ধুর কাছে বিদায় নিয়ে দাদু ফিরে চললেন সোহেলকে
নিয়ে| ফেরার পথে আবারো সেই পুলটি নজরে পড়লো সোহেলের| রাত হয়ে গেছে| এখন আর সেখানে কেউ
লাফালাফি করছে না| তবু সোহেলের অন্তরটা আনচান করে ওঠে| আগের সেই স্মৃতিটাই মস্তিষ্কের
পর্দায় ভেসে ওঠে| যেনো স্বর্গীয় একটা দৃশ্য| বায়ের দিকে তাকিয়েই সোহেল দেখতে পায়
আরও একটা মায়াবী দৃশ্য| বিস্তৃীর্ণ ধান ক্ষেতের কিনারা ঘেষে দাড়িয়ে থাকা সারিসারি গাছের
মাথার উপর একথালা পূর্ণিমা চাঁদ| সে সৌন্দর্যে আভিভূত হয়ে যায় সোহেল| মহান আল্লাহর
প্রতি কৃতজ্ঞতায় বিগলিত হয় তার মনটা| নিজের অজান্তেই সে বলে ওঠে,
— সত্যিই খুব সুন্দর একটা পৃথিবী গড়েছো তুমি| তোমার প্রশংসা|
No comments:
Post a Comment