পিতার কথা শুনে খুশির পুলকে মনটা ভরে যায় শাহাজাদীর| মধুকে দেওয়াটা ওয়াদাটা
তবে সহজেই পুরা করতে পারলো সে| ততক্ষণে সৈন্যরা মধুকে শাহাজাদার পোশাকে সাজিয়ে
দরবারে হাজির করলো| তার দিকে দৃষ্টি দিয়েই মাথা নত হয়ে গেলো শাহাজাদীর| পোশাক আশাক
বা ধন সম্পদ ছাড়াই কেবল ব্যক্ত্বিত্ব আর মহত্বের গুণের তার কাছে হার মেনেছে সে|
রাখালের পোশাকেই মধুকে আকাশের চাঁদই মনে হয়েছে
তার কাছে| এখন তার শূণ্যস্থানগুলো পূরণ হয়ে এতটাই পরিপূর্ণ মানুষ মনে হচ্ছে
যে নিজেকেই তার যোগ্য মনে হচ্ছে না কোনো ক্রমে| মনে হচ্ছে দয়া সে তাকে ভালবাসার
মানুষ হিসেবে গ্রহণ করলেই সে ধন্য হয়|
যথা সময়ে ঢাকঢোল পিটিয়েই শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয় দুজনের| প্রাসাদেই হয় বাসরের
রাত| একে একে ফলে যায় জ্যোস্নবরণ অনুষ্ঠানের সেই গানটির সবগুলো লাইন| সম্পূর্ণ হয়
অসমাপ্ত লাইনগুলোও| যেগুলো সেদিন শোনা হয়নি| এভাবে শাহী প্রাসাদের মেহমান হয়েই জীব
পার করত লাগলো তারা|
No comments:
Post a Comment